রামদীন – রথীন ঘোষ
রামদীন – রথীন ঘোষ
রামদীন তার গুরুর আশ্রমে থাকে, সে ছোট বয় সে গেরুদেবের আশ্রমে এসেছিল। ব্রম্মচর্য দক্ষিণ মার্গ, বাম মার্গ, অষ্ট শিদ্ধ, দশম মহাবিদ্যা সাধনা ইত্যাদি সে সফলতার
সঙ্গে শেষ করেছে, কিন্তু গুরুদেব
তাকে পুর্নাভিষেক দিচ্ছে না। একে একে সাথীরা
প্রত্যকে চলে গেল, কিন্তু রাম দিনের
আর যাওয়া হয় না। এদিকে রামদীনের ব্যবহারে ওর জ্ঞানের
অহংকার দেখা যায়, অহংকারের জন্য
সে নিজের যুক্তিকেই শ্রেষ্ঠ মনে করে, কাউকে তোয়াক্কা করে না।
মাঝে মাঝে রামদিনের বিরক্তি চলে আসে। প্রত্যকে রামদিনের প্রশংসা করে কিন্তু গুরুদেব ভুলেও কোন সময় প্রশংসা করে না।
রামদীন মন ভার করে থাকে। শেষে গুরু দেব
তাকে একদিন সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় দেখতে গাধার পিঠে করে গনেশ ঠাকুরের মুর্তি
নিয়ে যাচ্ছে একটা গ্রামে কতগুলো লোক। আর গ্রামের লোকেরা
মুর্তি দেখে প্রণাম করছে। আর গাধা খুশিতে মাথা নড়াচ্ছে।
গুরুদেব বললেন দেখ গাধা, গাধাকে দেখ। রামদীন বলল মানে, গুরু দেব বললেন লোকেরা কাকে প্রণাম
করছে? রামদীন উত্তরে
বলল, গণেশের মুর্তিকে।
ওটাইতো কিন্তু গাধা ভাবছে যে তাকে প্রণাম করছে তাই খুশিতে মাথা ঝাকাচ্ছে। তোর অবাস্থা হয়েছে ঐ গাধার মতো সন্ন্যাসের
পোশাক পরেছিস, দাড়িগোঁফ রেখেছিস, দুটো শাস্ত্র কথা বলতে শিখেছিস, সংস্কৃত শাস্ত্র আওরাস লোকে সম্মান
করে তোর ঐ গুণ গুলোকে, তোকে না। এই কথাটা তুই বুঝতে পারছিস না, তাই গুরুকুলে সব থেকে ভালো ছাত্র হওয়া
সত্বেও তোর এখনও মুক্তি হয় নি। তোর বাইরের এই
আবরণ গুলো খুলে দেওয়ার পর তুই সাধারণ মানুষ হবি। সেই ভাবে যদি থাকতে পারিস তাহলে তোর
এই বিদ্যা নিয়ে সফলতা আসবে। এবার থেকে যতবার
তোর কেউ প্রশংসা করবে তখন নিজেকে গাধা ভাববি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন