সৎ অসৎ

সৎ অসৎ - রথীন ঘোষ
অনেকদিন আগের কথা, এক দেশে এক বিখ্যাত মন্দির ছিল, খুব জাগ্রত, প্রতিদিন মহা ধুম ধামে পুজা আরতী হত বহু দূর দূর থেকে পুন্য সংগ্রহ করতে আসত সেই মন্দিরের মহন্ত এক ব্রম্মচারী পন্ডিত মহন্ত ছিলেন, লোকের অগাধ আস্থা ছিলো তার উপর কিছু দূরে এক বাঈজী বাড়ি ছিলো, সেখানে এক নামকরা বাঈজী প্রতিদিন সন্ধ্যায় গান করত প্রতিদিন সন্ধ্যায় যখন মন্দিরে আরতী হয় তখন বাইজীর গান ভেসে আসত মহন্ত মনে মনে ভাবতেন এ কেমন জীবন হল, আজ যেকোন লোকই টাকা খরচ করে ওই বাঈজীর আনন্দ নিতে পারে শুধু আমি বাদে সেই ছোটোবেলাতে কেন যে ব্রম্মচারী হয়ে গেলাম এত জ্ঞ্যান পাণ্ডিত্য কি কাজের। আর এদিকে বাঈজীর কানে মন্দিরের আরতীর গান ভেসে আসলে তিনি কানে আঙুল দিতেন, মনে মনে ভগবানকে বলতেন, “হে ভগবান গত জন্মে কত যে খারাপ কাজ করেছি যে ,এই নোংরা কাজ করতে হচ্ছে। লোক কত দূর থেকে এই বিখ্যাত মন্দিরে তোমার দর্শন করতে আসে কিন্তু আমি অপবিত্র শরীর নিয়ে তোমার মন্দিরে গিয়ে আর পাপ বারাতে চাই না।“ ক্রমে ক্রমে দিন মাস বছর গেলো,  দুইজনেই মারা গেলেন। বাঈজী আগে মারা গেলেন কিছুদিন পর
মহন্তও মারা গেলেন। মহন্ত মারা যাওয়ার পর যখন চিত্রগুপ্তের পাপ পুণ্যের খাতার সামনে গেল তখন দেখল যে সেই বাইজী দেবতাদের রাজা ইন্দ্রের পাশে বসে স্বর্গ সুখ পাচ্ছে। মহন্তের খাতা যখন খোলা হল দেখা গেল তার ভাগ্যে কোন পুণ্যই জমা হয় নি। তাই তার নরক বাসের আদেশ দেওয়া হল। মহন্ত আবার বাঈজী কে দোষারোপ করতে শুরু করল , যে এই মহিলা মর্ত্যেও সকলকে বশ করে রেখেছিল এখানেও তাই।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভালো চিন্তা

আপনি ও আপনার অবচেতন মনের শক্তি

সতী নারী