চার্বাক
চার্বাক – রথীন ঘোষ
ঋনং কৃত্বা ঘৃতং পিবেত, সুখম জীবেত যাবত জীবেত।
Yavat jeevam sukham jeevet.
Rinam kritva ghritam pibet.
Bhasmeetbhootasya dehasya.
punaragamanam kutah.
Rinam kritva ghritam pibet.
Bhasmeetbhootasya dehasya.
punaragamanam kutah.
চারবাকের এই একটি শ্লোক পারে কেবল মাত্র আমাদের সমাজে শান্তি আনতে, সমস্ত অভাব
অভিযোগ দূর করতে। কি ভাবছেন, আমি এবার নিশ্চয়ই পাগল হয়েছি, না না একদম ঠিক বলছি।
ঋণ করো ঘী খাও- যত দিন বাঁচ সুখে বাচো। এর থেকে ভালো কথা আর এই সমাজে দ্বিতীয় নেই।
আসলে চারবাকের এই কথাটার আমরা ভুল ব্যখ্যা করেছি, চিন্তা করুন সেই সময়টা যে
সময় চারবাক মতবাদ প্রচলিত ছিল। তখন চারবাক মতবাদ ছাড়া অন্য কোন মতবাদের আর
অস্তিত্ব ছিল না, সবাই সুখে ছিল। একবার ভাবুন তো একটা সময় সারা সমাজ পাগল ছিল না
মুর্খ ছিল, যে একটা লোক বলল ঋণ করো আর ঘী খাও আর সবাই এই কথাটা মেনে নিল। আর সবাই সুখে থাকল। তার পর এই দর্শনটা
পৃথিবীতে অনেক দিন অব্দি থাকল। আরে বাবা কে কাকে ঋণ দিবে, আর কে ঋণ পাবে, এটা
কখনোই সম্ভব না।
আসলে আমাদের ভাবতে হবে যে, কি
এমন ঋণ যা করলে ঘী উৎপন্ন হয়। এটা হচ্ছে ভালোবাসার ঋণ, যা
করলে প্রেমের উৎপন্ন হয়। ঘী ছাড়া যেমন শরীরে কান্তি আসে না ঠিক তেমনি, প্রেম ছাড়া
মানুষ পাগল হয়ে যায়।
সকালে বাজার যাওয়ার সময় যদি আমি আমার প্রতিবেশীর কুশল জিজ্ঞাসা করি, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি একটা ভালোবাসার ঋণে
আবদ্ধ হোন, কিন্তু মুশকিলটা হল আজ সমাজে কেউ কারও সঙ্গে কৃটিসাইজ ছাড়া কথা বলতে
পারে না, তাতে প্রেম উৎপন্ন হয় না, বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। আমার মেয়ে পড়তে গেলে আসার
সময় আমায় ভাবতে হত না, কারন গোটা সমাজ দেশ জাতি প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে
ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ, আর গোটা পৃথিবী প্রেম ময়। সত্যি কত সুন্দর ছিল আমাদের
নাস্তিক দর্শন। একোন কল্প কথা নয়, এ বাস্তব ছিল এক সময় আমদের দেশে। কত সুন্দর ছিল
আমাদের নাস্তিক দর্শন।
আজ আমাদের সমাজে চারিদিকে প্রেমিক কিন্তু প্রেম নেই কোথাও। রাস্তা ঘাটে, বাসে, ট্রামে, অলিতে গলিতে, অফিসে
সব জায়গায় অনেক প্রেমিক কিন্তু প্রেম নেই কোথাও।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন