মেধার কোন দেশ নেই
মেধার কোন দেশ নেই
রথীন ঘোষ
দুধ যখন গরম করা হয় তখন কেন জানি দুধের স্বর
উপরে জমা হয়, কিছুটা নিচেও জমা হয় কিন্তু পুড়ে যায়।
মেধার যখন চর্চা হয়, মানব কল্যানের উন্নতির
স্বার্থে আবিস্কার উন্নত দেশ গুলোতেই হয়। তৃতীয় শ্রেনীর উন্নয়নশীল দেশে নতুন কিছু
বলেছেন কি মরেছেন। আমি কয়েকদিন আগে একটু কাজে বেরিয়েছিলাম। পাবলিক বাস্ট্যান্ড পার
করার পর খুব ভালো একটা মোমো আর অন্যান্য ভাজাভুজির দোকান আছে ওখানে দাঁড়ালাম। এই
রকম মাঝে মাঝে দারিয়ে যাই। ভাজা ভুজি খাতে ভালোই লাগে, একটা বাচ্চা মেয়ে আসল হাতে
কিছু স্টিকার, বলল কাকু একটা কিনবে।আমি বললাম এত বাচ্চা মেয়ে স্টিকার বিক্রি
করছিস, পড়াশুনা করিসনা? বলল হ্যাঁ করি কিশলয় স্কুলে ক্লাস ফোর। কিশলয় আমাদের এখানকার
খুব ভালো স্কুল।
আমি বললাম দ্যাটস গুড। বড় হয়ে কি হবি। ও বলল
ভাবি নি, আমি বললাম, ভাব, আমি ততক্ষণ মোমো খাচ্চি তারপর তোর স্টিকার কিনব। আমার
মোমো খাওয়া হলে ও বলল, কাকু ডাক্তার হব, বা! ফাইন, কিভাবে হবি, জানিস? ও বলল, না
কিন্তু হয়ে যাব, দ্যাটস ফাইন নিশ্চয়ই হবি, এই বিশ্বাসটা হারাসনা নিজেকে ডাক্তার
ভাববি হয়ে যাবি, লাইফ ইজ সিম্পল নো প্রোব্লেম, দে স্টিকার দে, কত করে দিলি, ও বলল
দুই টাকা করে। আমি বললাম ১০ টা দিয়ে দে। আমি ভাবলাম ২০ টাকাতে এই মেয়েটাকে খুশী
করা গেল, বাড়িতে গিয়ে রেখে দিব, কাউন্সিলিঙ্গের জন্য অনেকে আসে, সঙ্গে বাচ্চা
থাকে, তাদেরকেও দেওয়া যাবে। আগে চকলেট দিতাম এখন দেখছি মায়েদের অভিযোগই থাকে স্যার
চকলেট খুব খায় কোনো উপায়। বাহঃ নিউ আইডিয়া। সব থেকে বড় কথা ৬ বছরের ছেলে বনি এখন
বাড়িতে। ওর স্কুল বছরে টানা তিন মাস ছুটি।ও খুব খুশী হবে।
ওখান থেকে বেরিয়ে বন্ধু বাপীর ওখানে গেলাম, ওকে
বললাম পুরো ব্যাপারটা। বললাম একটা ভালো কাজ করলাম মেয়েটার লাইফে একটা গোল সেট করতে
পারলাম, মেয়েটা নিশ্চয় ডাক্তার হয়ে যাবে মনে হয়। ও বলল দূর জয়েন্টে চান্স পাবে
তারপর তো, আর মেডিক্যালে পড়ার খরচ জানিস।
এখানেই ইন্ডিয়া মার খেয়ে যায়, এই জন্য অমর্ত্য
সেন, সি,ভি,রমণ, কল্পনা চাওলা, সুনিতা উইলিয়ামস, বাংলাদেশের মেহেদি হাশান এদেরকে
বিদেশে যেতে হয় এখানে থাকলে ডাঃ সুভাষ হতে হয়। ভারতে প্রতিদিন যে কত এক ডক্টর কি
মৌত হচ্ছে, কে খবর রাখে। যারা বেচে আছে তারাও মরে মরে বাচ্ছে। সেম ব্যাচ কম মেধা
কিন্তু বিদেশে যাওয়ার কারনে অনেক বড় যায়গায় চলে গেছে। আর বিদেশে গেলেই তোমরা ব্রেন
ড্রেন বলে চিল্লাবে। আরে বাবা লছমি নারায়ন মিত্তল আজ কোলকাতা ছেড়ে বিদেশে গেছে
বলেই তো আমাদের গর্ব, দেশের রত্ন হতে পেরেছে। এখানে থাকলে ডান বাম হিসেব করতেই পার
হয়ে যাবে, ব্যবসা কখন করবে।
এখন মুকেশের যেমন হচ্ছে, রিলান্সের পাম্প গুলো
নাকি খুলছে!
যেদেশ যত মুক্ত মনা হবে সেখানে, মেধার বিকাশ তত
বেশী হবে। আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদ সাম্প্রদায়িকতা বারছে। বারবেই কারন এদেশে
মুসলীম লীগ বা হিন্দু মহাসভা সাম্প্রদায়িক না সাম্প্রদায়িক হল সেই লোক গুলো যারা
ভোটের জন্য ক্ষণিকের জন্য টুপি পরে বা গোমাংস খাওয়ার ভান করে কোন সময় পৈতা পুড়াবার
ভান করে।
কিছুলোক যদি Astrology নামে ঢোপলোজী করে পাবলিককে সাইকোলজিক্যাল
ব্ল্যক মেলিং করে তাহলে ওটা তো অন্যায় কিন্তু ওটার প্রতিবাদ করাটাই যার রুজী রুটি তাহলে
দুই জনেই সমান দোষে দুষ্ট। জাস্ট গটাপ কেস। আমরা যদি ভালো দর্শন দিতে পারি লোককে
তাহলে তারা খারাপটা এমনিতেই ছেড়ে দিবে।
ছাত্র দের রিডিং পাওয়ার, মেমারী পাওয়া, কনসেন্ট্রেশন, ফোটোগ্রাফিক মেমারী বিজ্ঞানের নতুন
নতুন আবিস্কার যদি আমাদের ছেলে মেয়েদের হাতে দিতে পারি, তাহলে কেন ওরা বা ওদের কোন গার্জেন
জ্যোতিষের কাছে যাবে। ওরা জ্যোতিষের কাছে যাচ্ছে এই জন্য
যে ওদের কাছে সঠিক পথ নেই।
এখন যেভাবে জ্যোতিষ চর্চা চলছে এই ভাবে ভারতে জ্যোতিষ
চর্চা কোনদিন ছিল না। রামায়ন মহাভারত বা কোন প্রাচিন সংস্কৃত
সাহিত্যে এমন কোন চরিত্রের সন্ধ্যান আছে কি, যেখানে মানুষ নিজের লোভ ও ভয় চরিতার্থ
করার জন্য কোন্য জ্যোতিষের কাছে যাচ্ছে।
যদি তাই হত তাহলে গান্ধারী অনেক বার ই জ্যোতিষের কাছে
যেত, এবং যুদ্ধে জেতার জন্য অনেক যজ্ঞ ইত্যাদি
করা হত।
মহাভারতের যুদ্ধে কৃষ্ণ অর্জুন নারায়নের মন্ত্র সহ সাত
বার আমার চক্কর লাগা, ধুপ দ্বিপ জ্বালা, নারিকেল ফাটা ব্যস জিতে গেলি আর কি।
কৃষ্ণ কে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হল, অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি ভারতের জ্যোতিষের
ব্যবহার ছিল কেবল মাত্র মানুষকে নির্লোভ ও নির্ভিক করার জন্য তন্ত্রের ব্যবহার ছিল for the purification of body
soul and mind. আমার এই কথা গুলো বিশ্বাস করার দরকার নেই পরীক্ষা করে দেখে নিন। আজ বিশ্বের বহু ফিলোসফার ভারতে এসে
এগুলো পরীক্ষা করে দেখেছে। কলেজের পর আমিও
পাঁচ বছর সন্ন্যাস এ ছিলাম। স্বামী নিখিলেস্বরানন্দের
কাছে পুর্নাভিষেক হওয়ার পর সংসারে আবার পাঠিয়ে দেয় জীবন্ত সন্ন্যাসের দীক্ষা দিয়ে। ২০০৬ এ Govt, জব এ ঢুকি। ক্ল্যরিক্যল স্টাফ। আজ অফিসে অনেক আমাকে বড় ছুটি দেওয়ার
জন্য রাজি হল। এই ক বছর আমি ইংরেজি মোটিভেশনাল বই, ফিকশন ইত্যাদি নিয়ে ছিলাম। এবছর পুরোপুরি ভাবে মোটিভেশনের কাজে
নেমে যাব। এই জবটা ছেড়ে দিব। আরও বেশী ছাত্র ছাত্রীদের কিভাবে পড়তে
হয় ট্রেনিং দিতে পারব।
পরিশেষে যে মানুষের নিজের সভ্যতা সংস্কৃতির উপর শ্রদ্ধা
থাকে না তাদের গোটা বিশ্ব সভ্য মানুষ মনে করে না।
আবার বলছি জ্যোতিষ তন্ত্র মন্ত্র নিয়ে তর্কের বিষয় নয়
প্রশ্ন থাকলে সাধনা করে উপলবদ্ধি করে নিন। আজকের মতো তথাস্তু !
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন