পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সফল হওয়ার উপায়

সফল হওয়ার উপায় - রথীন ঘোষ More you Learn, More you Earn – Rathin Ghose আমি আমার সারা জীবন ছুটে বেরিয়েছি , আমার এই প্রশ্নটার পেছনে যে সফল মানুষেরা সফল কেন অসফল মানুষেরা অসফল কেন । আমার ছোট বেলাটা খুব সাধারণ ভাবে কেটেছে । আমরা পাঁচ ভাই বোন ছিলাম , বাবা হাই স্কুলের টিচার ছিলেন । মাঠে বিঘা চল্লিস জমিও ছিল , পুকুরও ছিল তাও বাবার যেন অভাব কোনদিন শেষ হত না । বাবা অনেক কষ্টে ছেলে মেয়েদের মানুষ করতেন । কারও কোন অভাব কোনদিন হতে দেননি কিন্তু কোন দিন কারও মন জোগাতেও পারেন নি । পুজার জামা যখন পাড়ার সবার প্রায় পাচটা ছটা হয়ে গেছে , আমাদের তখনও কোন গল্প শুরু হয় নি । পঞ্চমী কিম্বা ষষ্ঠির দিন কোন দোকানে গিয়ে আমাদের জামা দেওয়া হত তাও একটা করে । মনে আছে মা প্রায় প্রতি বছর রাগ করে বলতেন , তিনি কিছু নিবেন না , তাকে কিছু দিতে হবে না । বাবা মার মান ভাঙ্গাতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন । বাবার উপর আসলে অনেক দায়িত্ব ছিল । আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেকে আত্মীয় স্বজনের খরচ বাবাকে চালাতে হত । পুজোর আগে গ্রামের বাড়িতে যাদের যাদের যা যা দিতে হবে তা দিয়ে দিত । তখনই আমরা দুই ভাই মনে মনে ভেবে নিয়েছিলাম আর যাই হোক ...

ভালো চিন্তা

ভালো চিন্তা - রথীন ঘোষ  একবারের এক গুরুকুলের আশ্রমের ঘটনা বলছি, সেই অনেক শিষ্য ছিল। প্রত্যেকে নিজেদের সাধনা খুব পরিশ্রমের সঙ্গে করত। কিন্তু যুগের হাওয়ায় তাদের ভেতর কিছু খারাপ অভ্যেস ঢুকে যায়। তারা সবসময় প্রত্যেকে নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে জাহির করত ও প্রত্যকের নিন্দা করত । কিন্তু তারা বুঝতে পারছিল না যে এই যুক্তি-তর্ক-সমালোচনার নামে একে অপরের নিন্দা করা তাদের নিজেদের স্তর নামিয়ে দিচ্ছিল। তারা কোথাও উপদেশ দিতে যখন যেত, রাম কথা, কৃষ্ণ কথা, ভাগবত উপস্থাপনা খুব সুন্দর হত কিন্তু মানুষের জিবনযাত্রায় কোন পরিলক্ষন ছিল না, গুরুদেব সব বুঝতে পারছিলেন তাই একদিন সন্ধ্যায় সব শিষ্যদের ডাকলেন, বললেন আগামী কাল কিছু আলু নিয়ে এসো একটু বড় বড় আলু। পরের দিন সব শিষ্য আলু নিয়ে হাজির হল। এবার প্রত্যেকটা আলুতে তোমরা যাদের পছন্দ কর না তাদের নাম লিখে নিয়ে এসো। সব গেল তাড়াতাড়ি আলু গুলোতে তাদের দৃষ্টিতে খারাপ লোকদের নাম লিখে নিয়ে এলো।কারো ৫টা কারও ৬টা কারও আরও বেশী লাগল। এবার গুরুদেব বললেন, এই আলু গুলকে নিয়ে চলে যাও, আগামি ১০ দিন এই আলু গুলোকে একদম হাত ছাড়া করবে না। এমনকি ঘুমাবার সময়, চান করার সময়, শৌচের সময় সর্বদা...

মেধার কোন দেশ নেই

মেধার কোন দেশ নেই            রথীন ঘোষ দুধ যখন গরম করা হয় তখন কেন জানি দুধের স্বর উপরে জমা হয়, কিছুটা নিচেও জমা হয় কিন্তু পুড়ে যায়। মেধার যখন চর্চা হয়, মানব কল্যানের উন্নতির স্বার্থে আবিস্কার উন্নত দেশ গুলোতেই হয়। তৃতীয় শ্রেনীর উন্নয়নশীল দেশে নতুন কিছু বলেছেন কি মরেছেন। আমি কয়েকদিন আগে একটু কাজে বেরিয়েছিলাম। পাবলিক বাস্ট্যান্ড পার করার পর খুব ভালো একটা মোমো আর অন্যান্য ভাজাভুজির দোকান আছে ওখানে দাঁড়ালাম। এই রকম মাঝে মাঝে দারিয়ে যাই। ভাজা ভুজি খাতে ভালোই লাগে, একটা বাচ্চা মেয়ে আসল হাতে কিছু স্টিকার, বলল কাকু একটা কিনবে।আমি বললাম এত বাচ্চা মেয়ে স্টিকার বিক্রি করছিস, পড়াশুনা করিসনা? বলল হ্যাঁ করি কিশলয় স্কুলে ক্লাস ফোর। কিশলয় আমাদের এখানকার খুব ভালো স্কুল। আমি বললাম দ্যাটস গুড। বড় হয়ে কি হবি। ও বলল ভাবি নি, আমি বললাম, ভাব, আমি ততক্ষণ মোমো খাচ্চি তারপর তোর স্টিকার কিনব। আমার মোমো খাওয়া হলে ও বলল, কাকু ডাক্তার হব, বা! ফাইন, কিভাবে হবি, জানিস? ও বলল, না কিন্তু হয়ে যাব, দ্যাটস ফাইন নিশ্চয়ই হবি, এই বিশ্বাসটা হারাসনা নিজেকে ডাক্তার ভাববি...

চার্বাক

চার্বাক – রথীন ঘোষ ঋনং কৃত্বা ঘৃতং পিবেত , সুখম জীবেত যাবত জীবেত । Yavat jeevam sukham jeevet. Rinam kritva ghritam pibet. Bhasmeetbhootasya dehasya. punaragamanam kutah. চারবাকের এই একটি শ্লোক পারে কেবল মাত্র আমাদের সমাজে শান্তি আনতে, সমস্ত অভাব অভিযোগ দূর করতে। কি ভাবছেন, আমি এবার নিশ্চয়ই পাগল হয়েছি, না না একদম ঠিক বলছি। ঋণ করো ঘী খাও- যত দিন বাঁচ সুখে বাচো । এর থেকে ভালো কথা আর এই সমাজে দ্বিতীয় নেই। আসলে চারবাকের এই কথাটার আমরা ভুল ব্যখ্যা করেছি, চিন্তা করুন সেই সময়টা যে সময় চারবাক মতবাদ প্রচলিত ছিল। তখন চারবাক মতবাদ ছাড়া অন্য কোন মতবাদের আর অস্তিত্ব ছিল না, সবাই সুখে ছিল। একবার ভাবুন তো একটা সময় সারা সমাজ পাগল ছিল না মুর্খ ছিল, যে একটা লোক বলল ঋণ করো আর ঘী খাও আর সবাই এই কথাটা মেনে নিল । আর সবাই সুখে থাকল। তার পর এই দর্শনটা পৃথিবীতে অনেক দিন অব্দি থাকল। আরে বাবা কে কাকে ঋণ দিবে, আর কে ঋণ পাবে, এটা কখনোই সম্ভব না। আসলে আমাদের ভাবতে হবে যে , কি এমন ঋণ যা করলে ঘী উৎপন্ন হয়। এটা হচ্ছে ভালোবাসার ঋণ , যা করলে প্রেমের উৎপন্ন হয়। ঘী ছাড়া যেমন শরীরে কান্তি আসে না ঠিক তেমন...

বাবু উপরে দেখ

বাবু উপরে দেখ – রথীন ঘোষ আমার বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কানকি গ্রামে , আমার ছোটবেলা ওখানেই কেটেছে । গ্রামে একটা ছোট রেল স্টেশন , স্টেশনের পাশে বট গাছ । অনেক গুলো বট গাছ ছিল খান চারেক, অনেক ঝু ড়ি ঝুলত । আমাদের খেলা ছিল ঐ বট গাছেই । পাশেই একটা ছোট পুকুর ও ছিল । আমাদের চান করার জন্য যথেষ্ট । আমাদের বাড়ির গরু মোষ গুলোও ওখানেই চান করত । স্কুল যাওয়ার আগে আবার স্কুল থেকে আসার পর আমরা ওখানেই থাকতাম । তবে ঐ বটগাছের নিচে মাঝে মাঝে যাযাবররা বাসা বাঁধত । তখন আমাদের ছন্দ পতন ঘটত । কিন্তু আমি ছাড়ার পাত্র নই । যাযাবর আসলে বন্ধুরা আর সেখানে যেত না কিন্তু আমি তাও ওখানেই থাকতাম । ওরা অনেক লোক থাকত । ওদের ছেলে পেলেও থাকত । ওরাই আমার তখন বন্ধু হয়ে যেত । কত বার ওদের সঙ্গে হাপু শিখতে তে গিয়ে থুৎনি , পিঠে ব্যাথা খিয়েছি । একটা সাপুড়ের দল ও আসত , সাপ গুলো কি সুন্দর ছিল । ওরা ওদের সঙ্গে খেলত । এই রকম বিভিন্ন দল আসতে আসতে এক বার মধ্যপ্রদেশের একটা দল আসল । ওদের বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েরা দড়ির উপর হাঁটা খেলা দেখাত । ওত উচু দড়িতে শুধুকি হাঁটা কত ধরনের লাফানো । ঐ দলে একটা মেয়ে ছিল সাবিয়া ওর তখন শ...

সতী নারী

সতী নারী – রথীন ঘোষ অনেকদিন আগের কথা , তখন চারিদিকে রাজার শাসন , সেই রকম একটা দেশের গল্প বলি , ঘটনাটা আজও প্রাসঙ্গিক । এক দেশে এক রাজা ছিল , রাজার রাজত্বে সবাই খুব সুখ ও শান্তিতে ছিল । রাজা মশাইও খুব বিনয়ী ও প্রজা বৎসল ছিলেন । কিন্তু এই রকম একটি সুখি সমৃদ্ধ রাজ্যে একবার এক অশুভ সংকেত দেখা দিলো । সেই সুন্দর রাজ্যে একটা বট গাছ হঠাৎ করে শুকিয়ে যেতে শুরু করে । সেই বট গাছটা এত প্রাচীন ছিলো যে , তার বয়স সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারত না । সে ছিল , সে রাজ্যের আদি ও প্রাচীন । সেই গাছকে সকলে ইশ্বর জ্ঞানে পুজা করত । তাই দেশের এই রকম একটা গাছের শুকিয়ে যাওয়াকে সকলে অশুভ সংকেত মনে করল । তাই সবাই রাজার কাছে গেল । রাজা মন্ত্রী ও রাজগুরুর সঙ্গে আলোচনা করলেন কিন্তু কেউ কোন বিধান দিতে পারলেন না । তার পর সকলে মিলে ঠিক করলেন যে , হিমালয়ে সিদ্ধ পুরুষ সন্ন্যাসী আছে সেখান থেকে , সন্ন্যাসী কে আনতে হবে । অনেক অনুরোধ উপরোধের পর সন্ন্যাসী এলেন , সব দেখে শুনে বিধান দিলেন যে , যদি কোন সতী নারী , সেই শুকোতে শুরু করা বট গাছটাতে জল দেয় , তাহলে গাছটা জ্যান্ত হয়ে উঠবে । এই কথা শুনে রাজা বললেন ও এই ব্যাপার ঠিক...

রামদীন – রথীন ঘোষ

রামদীন – রথীন ঘোষ রামদীন তার গুরুর আশ্রমে থাকে , সে ছোট বয় সে গেরুদেবের আশ্রমে এসেছিল । ব্রম্মচর্য দক্ষিণ মার্গ , বাম মার্গ , অষ্ট শিদ্ধ , দশম মহাবিদ্যা সাধনা ইত্যাদি সে সফলতার সঙ্গে শেষ করেছে , কিন্তু গুরুদেব তাকে পুর্নাভিষেক দিচ্ছে না । একে একে সাথীরা প্রত্যকে চলে গেল , কিন্তু রাম দিনের আর যাওয়া হয় না । এদিকে রামদীনের ব্যবহারে ওর জ্ঞানের অহংকার দেখা যায় , অহংকারের জন্য সে নিজের যুক্তিকেই শ্রেষ্ঠ মনে করে , কাউকে তোয়াক্কা করে না । মাঝে মাঝে রামদিনের বিরক্তি চলে আসে । প্রত্যকে রামদিনের প্রশংসা করে কিন্তু গুরুদেব ভুলেও কোন সময় প্রশংসা করে না । রামদীন মন ভার করে থাকে । শেষে গুরু দেব তাকে একদিন সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় দেখতে গাধার পিঠে করে গনেশ ঠাকুরের মুর্তি নিয়ে যাচ্ছে একটা গ্রামে কতগুলো লোক । আর গ্রামের লোকেরা মুর্তি দেখে প্রণাম করছে । আর গাধা খুশিতে মাথা নড়াচ্ছে । গুরুদেব বললেন দেখ গাধা , গাধাকে দেখ । রামদীন বলল মানে , গুরু দেব বললেন লোকেরা কাকে প্রণাম করছে ? রামদীন উত্তরে বলল , গণেশের মুর্তিকে । ওটাইতো কিন্তু গাধা ভাবছে যে তাকে প্রণাম করছে তাই খুশিতে ম...